ফেনী নদীতে নতুন সেতু: এক বছরে বদলে যাবে দু’পাড়ের চিত্র
একপাড়ে ফেনীর ছাগলনাইয়া অন্যপাড়ে চট্টগ্রামের মিরসরাই। ঐতিহ্য-সংস্কৃতিতে এই দুই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও এতদিন সে মিলনে বাধা ছিল ফেনী নদী। অবশেষে নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে সেতু। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নামে নির্মাণাধীন এ সেতুর কাজ শেষ হতে লাগবে বছরখানেক। এরপরই সূচিত হবে নতুন দিন। মিলবে নদীর দু’পাড়ের মানুষ।
জানা গেছে, ফেনী নদীর ধুম ইউনিয়নের ধুম গ্রাম এলাকায় ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ব্যয় করছে ৩০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। চলতি বছর (২০২২) অক্টোবরে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত বর্ষায় কাজে ধীরগতি থাকায় সময় বাড়ানো হয়। আগামী বছরের (২০২৩) মাঝামাঝি এটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলেছে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচইএইচটি (জেবি) স্বত্ত্বাধিকারী ফজলুল হক জানান, সেতুটির ৩০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর জুন-জুলাইয়ের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
ছাগলনাইয়া উপজেলার আলকদিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এ সেতু গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে উচ্ছ্বাস বয়ে এনেছে। সেতুটি চালু হলে ফেনী নদীর দুই পাড়ের মানুষের মিলন ঘটবে। প্রসারিত হবে শিক্ষা, বাণিজ্যসহ নানা সুবিধা। চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, এক সময় দেখতাম নদীর ওপারের আলকদিয়া গ্রামের মানুষ অনেক কষ্টে নদী পার হতো। আশা করছি মানুষের এতদিনের কষ্ট দূর হবে। তারা এ সেতুর মাধ্যমে মিরসরাইয়ে পার হয়ে এখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে। উন্নত জীবনযাপন করার সুযোগ পাবে। একইভাবে এই পাড়ের মানুষও ছাগলনাইয়ার নানা সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
দৈনিক গাইবান্ধা