শিশুর ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২০

ডিপথেরিয়া রোগের নাম অনেকেই শুনেছেন। তবে এর ব্যাপারে তেমন একটা জানা নেই অনেকেরই। পোলিও, রুবেলা, কলেরা প্রভৃতি রোগের মত ডিপথেরিয়াও কিন্তু ভয়ঙ্কর একটি ব্যাধি। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন একটি ভয়াবহ রোগ, যা অন্যান্য বয়সের লোকদের থেকে শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা দেয় এবং সহজেই একজনের কাছ থেকে অন্য জনের মধ্যে সংক্রমিত হয়। মূলত ১-১২ বছর বয়সী শিশুদের ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে ১-৫ বছরের বাচ্চাদের এটি বেশি প্রভাবিত করে। এই সংক্রমণের ফলে নাক, গলা, হৃদপিণ্ড, স্নায়ুতন্ত্র এবং কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই শিশুদের সঠিক সময় ডিপথেরিয়ার টিকা না দিলে পরবর্তীকালে এই রোগের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শিশু জন্মের দেড় মাস, আড়াই মাস ও সাড়ে তিন মাসে ডিপথেরিয়ার টিকা দেয়া হয়। তবে বর্তমান মহামারির সংক্রমণের ফলে বিশ্বজুড়ে শিশুদের টিকাকরণ কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে। হু এবং ইউনিসেফ-এর যৌথ সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২৯টি দেশের মধ্যে কম করে ৬৮টি দেশে টিকা দেয়ার কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে।
ফলে বিশেষজ্ঞদের একাংশই মনে করছেন, আমাদের দেশে ডিপথেরিয়াসহ শিশুদের ভয়াবহ অসুখগুলো পুনরায় ফিরতে পারে। তবে ডিপথেরিয়া কী, কেন হয়, লক্ষণ এবং প্রতিকার জেনে রাখুন-
ডিপথেরিয়া কী?
ডিপথেরিয়া হল এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত ব্যাধি। করিনিব্যাকটিরিয়াম ডিপথেরি নামে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ থেকে এই রোগ হয়। ব্যাকটেরিয়া ঘটিত এই মারাত্মক রোগ গলা ও নাকের মিউকাস মেমব্রেন বা শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে। গলার পিছন দিকটা পুরু আস্তরণ দ্বারা ঢেকে যায়, ফলে খাবার খেতে ও গিলতে সমস্যা হয়। মাঝে মাঝে শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। এই রোগে হৃদপিণ্ড, কিডনি ও মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
ডিপথেরিয়ার লক্ষণ
এই রোগের লক্ষণ সাধারণত ৪-৫ দিনের মধ্যে প্রকাশ পায়। যদিও কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ পেতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। লক্ষণগুলো হল -
> ঠান্ডা লাগা, জ্বর, গলায় প্রচন্ড ব্যাথা ও কাশি
> মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা
> খাবার গিলতে সমস্যা, কথা বলার মধ্যে জড়তা
> নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা
> প্রচন্ড মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি বা মাঝে মাঝে রক্তপাত হওয়া
> ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি বা কালশিটে পড়ে যাওয়া
> টনসিলে ধূসর বর্ণের পর্দার জন্ম নেয়া
> ঘাড়ের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
রোগের ঝুঁকি
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
> সময়মতো টিকা না নিলে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
> অস্বাস্থ্যকর ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
> সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
রোগ নির্ণয়
> বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের নির্ণয় করা হয়।
> গলার ভেতরে হওয়া ধূসর বর্ণের আস্তরণের পরীক্ষার মাধ্যমে।
> এছাড়াও সেরোলোজিক্যাল, রক্ত পরীক্ষা, ডিপথেরিয়ার অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়।
চিকিৎসা
ডিপথেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে প্রথমে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে অ্যান্টি-টক্সিন ব্যবহার করা হয়। তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অ্যান্টি-টক্সিন এর মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে ডিপথেরিয়ার জীবাণু মেরে ফেলা হয়। আপনার কি ঘনঘন হাত ধোওয়ার অভ্যাস আছে? এই ভয়ানক রোগে আক্রান্ত নন তো! এই ওষুধগুলো ব্যবহারের পাশাপাশি, শ্বাস নিতে কষ্ট হলে টিউবের সাহায্য নেয়া হয় এবং ফ্লুইডস বাই আইভি করা হয়। এছাড়াও রোগীকে প্রচুর বিশ্রাম ও সুষম খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা হয়।
প্রতিকারের উপায়
> সঠিক সময়ে শিশুদের টিকা গ্রহণ করাতে হবে। ডিপথেরিয়ার টিকাকে বলে ডিটিএপি। এই টিকাটি চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট সময়ে শিশুদের দিতে হবে।
> এই টিকার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে ১০ বছর পর্যন্ত। তাই ১০ বছর বয়সের পর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে পুনরায় এই টিকা নিতে হবে।
> স্বাস্থ্যকর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের থাকার চেষ্টা করুন।
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এমন খাবার খাওয়া চালিয়ে যান।
সূত্র: বোল্ডস্কাই

- উন্নয়ন দেখতে বাংলাদেশে আসতে চান বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ
- পৌর নির্বাচনে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না
- টিকা দেওয়ার ছক প্রস্তুত
- অক্সিজেনের ন্যূনতম মূল্য ১০০-১২০ টাকা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০৯১ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার
- দুর্গম চরে আশার আলো
- প্রাণ ফিরেছে পর্যটনে
- ফলন বাড়ছে ফসলের
- তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকায় সেচ কার্যক্রম শুরু
- অভয়াশ্রমে রক্ষা দেশীয় মাছ
- গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার
- গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিলো
- গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, চলছে গণনা
- গোবিন্দগঞ্জে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন প্রশাসন
- বদহজম, গলার ব্যথা সারাবে এই সবজি
- ভয়েস সার্চ চালু করল ইউটিউব
- শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
- বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভা
- আ`লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশ এগিয়ে যায়- কৃষিবিদ সমীর
- আজ সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন,প্রশাসনের পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা সেল
- পাকিস্তানের উড়োজাহাজ আটকে রাখল মালয়েশিয়া
- মেগা প্রকল্প:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন দৃশ্যমান - কলার খোসার নানা ব্যবহার
- ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব
- খেলা ছেড়ে পুরোদস্তুর কোচ হলেন রুনি
- বিয়ের পিঁড়িতে বরুণ, বিলাসবহুল রিসোর্টে তিন দিনের আয়োজন
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
- গাইবান্ধায় দুই পৌরসভায় চলছে ভোট গ্রহণ
- সারাদেশে ৬০ পৌরসভায় ভোট চলছে
- জঙ্গি দমনে অনেকখানি এগিয়ে গেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- আহমদ শফীকে পরিকল্পিত হত্যা করেন হেফাজত নেতা বাবুনগরী-মামুনুল হক
- ভারতবর্ষে ঐশী সুবাস ছড়িয়েছেন খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী
- সাদুল্লাপুরের কামারপাড়া ইউনিয়ন হবে ‘রোল মডেল ইউনিয়ন’
- সাধারণ ফলের অসাধারণ গুণাবলী!
- বাংলাদেশ মুক্ত হয় ১৬ ডিসেম্বর, কিন্তু আমরা মুক্ত হই ১৭ ডিসেম্বর
- আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার- জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা
- ইতিহাসে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা
- কারি পাতা গাছের গুনাগুন
- সাদুল্লাপুরে খাদ্যের নিরাপদতা শীর্ষক সেমিনার
- নখ কাটার সময় যে ভুলগুলো বিপদ ডেকে আনছে
- গাইবান্ধায় পানি পরীক্ষাগার ভবন নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন
- গোবিন্দগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটার ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা
- ঘুমানোর পূর্বে গরম পানি পানের উপকারিতা
- তাহাজ্জুদ নামাজে ১০ আয়াত তেলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত
- ফুলছড়িতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনরা পাচ্ছেন ৭৫ টি ঘর
- প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ঘর পেলেন সাদুল্লাপুরের আমেনা
- গাইবান্ধায় ‘আল্লার দলের’ দুই সদস্য আটক
- দাজ্জালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে জুমআর দিনের বিশেষ আমল
- ঢোক গিলতে কষ্ট হচ্ছে? মারাত্মক বিপদের লক্ষণ নয় তো!
- গাইবান্ধায় অসহায় ও দুঃস্থ রোগীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
