মাষকলাইয়ে আগ্রহ ফেরাতে প্রণোদনা
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১

পুষ্টিগুণ ও স্বাদেভরা মাষকলাই চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষক। চাষের অনুকূল আবহাওয়া ও উপযোগী মাটি থাকা সত্ত্বেও দিনে দিনে এ অঞ্চলে কমছে মাষকলাইয়ের চাষ।
উন্নত জাত ও আবাদের ধরন এবং ফলন বিষয়ে যথাযথ ধারণা না থাকা, উৎপাদিত মাষকলাই বাজারজাতকরণে সমস্যা এবং অতীতের তুলনায় ভোক্তা কমে যাওয়ায় আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলে খুব অল্প পরিমাণ জমিতেই আবাদ হচ্ছে মাষকলাই।
তবে সরকারিভাবে এবার প্রণোদনার আওতায় আসায় শষ্যভাণ্ডার খ্যাত রংপুর অঞ্চলে আবারও মাষকলাইয়ের ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সঠিক বাজারজাত ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে আগ্রহ বাড়ানো গেলে আমদানিনির্ভর ডালের পরিবর্তে অপার সম্ভাবনাময় ফসল হতে পারে মাষকলাই এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর অঞ্চলে সাধারণত খরিপ-১ ও ২ এবং রবি মৌসুমে মাষকলাই আবাদ হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে কম আবাদ হয় রবি মৌসুমে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে এ অঞ্চলে আবাদ হয়েছে ৮৬০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে গাইবান্ধায় ৮৫০ এবং লালমনিরহাটে ১০ হেক্টর। ২০১৯-২০ মৌসুমে এ অঞ্চলে ৫৩৫ হেক্টর জমিতে মাষকলাইয়ের আবাদ হয়। আর ২০২০-২১ মৌসুমে এ অঞ্চলে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমি।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের ওমর গ্রামের কৃষক জোবেদ আলী জানান, বাবা-চাচারা মাষকলাই আবাদ করতেন। সময় বেশি লাগে বলে তিনি মাষকলাই বাদ দিয়ে স্বল্পমেয়াদী ফসলে ঝুঁকেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার রুদ্রেশ্বর গ্রামের কৃষক নায়েব আলীও একই কথা জানান। তিনি জানান, মাষকলাই আবাদটা বেশি দিনের জন্য। ছয় মাসে আসে এর ফলন। এদিকে ছয় মাসে আবাদ আসে দুইটা। মূলত মাষকলাই চর এলাকার জন্য প্রযোজ্য। তাই তিনিও মাষকলাই আবাদ করেন না।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪নং ওয়ার্ডের কৃষক মমিনুল ইসলাম জানান, অনেক আগে মাষকলাই চাষ করেছেন। তাতে লাভবানও হয়েছেন। বর্তমানে ফলন কম এবং লাভজনক না হওয়ায় মাষকলাইয়ের পরিবর্তে অন্যান্য ফসল আবাদ করছেন।
এ বিষয়ে সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আরিফ মোস্তফা বলেন, আগে আমাদের বাপ-দাদারা মাষকলাইয়ের ডাল বেশি করে খেতেন। পরবর্তীতে আমরাও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রণোদনা হিসেবে কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহ করছে। এর পাশাপাশি মনিটরিং ও আবাদ বৃদ্ধি করা গেলে বাইরে থেকে ডাল আমদানি কমবে এবং মাষকলাইয়ের পুষ্টিগুণ নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।
কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাষকলাই চাষে খরচ খুবই কম। এটির তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। একর প্রতি খরচ হয় প্রায় দুই হাজার টাকা। কিন্তু ফলন মেলে একর প্রতি প্রায় ২০ মণ করে। প্রতি মণ মাষকলাইয়ের বাজার মূল্য প্রায় এক হাজার ৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ খোন্দকার মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, একটা সময় এ অঞ্চলে মাষকলাই চাষের প্রচলন ব্যাপকভাবে ছিল। সাধারণত নদী তীরবর্তী এলাকায় এর চাষ হয়। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় লাভজনক হিসেবে কৃষক এ ফসল আবাদ করেন।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে এ অঞ্চলে ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে রবি মৌসুমে হয়েছিল ৫ হেক্টর জমি। বাকি ৫৩০ হেক্টর জমির আবাদ হয়েছিল খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে।
তিনি আরও বলেন, বাজারজাতকরণের অভাবে এ অঞ্চলে মাষকলাই চাষ বাড়ানো যাচ্ছে না। আগে খাবার হিসেবে এর যে প্রচলন ছিল এখন তা নেই। মানুষ অন্যান্য ডালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তিন মৌসুমেই মাষকলাই আবাদে সময় লাগে ৬৫ থেকে ৭০ দিন।
বর্তমানে এর নতুন জাত উদ্ভাবন হয়েছে। অনেক কৃষক হয়ত সে বিষয়ে জ্ঞাত না। এর বিবিধ ব্যবহার ও মানুষের খাদ্যাভ্যাস বাড়ানো গেলে মাষকলাই সম্ভাবনাময় ফসল হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ও কষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে মাষকলাই চাষ বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর পুষ্টিগুণ বিষয়ে ধারণা ও আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষক এবং সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে। প্রণোদনা হিসেবে কৃষকের মাঝে বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে মাষকলাই চাষ বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

- বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতিবিরোধী ভাষণ দূরদর্শিতার প্রমাণ
- শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র
- করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেছে
- পুনরুদ্ধারের পথে অর্থনীতি, করোনা শঙ্কা কেটে গেছে
- আসছে তাৎক্ষণিকভাবে ভোটার হওয়ার সুযোগ
- দেশে এলো আকাশ তরী
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪০০ কোটি ছাড়াল
- মেট্রো রেল প্রকল্পে গড় অগ্রগতি ৫৬.৯৪%
- দেশে হচ্ছে আরও সাত নভোথিয়েটার
- ক্যামেরায় ধরা পড়ল পৃথিবীর বিরলতম প্রাণী
- মুখরোচক দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান অবতরণের ভিডিও প্রকাশ করেছে নাসা
- গোবিন্দগঞ্জে ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আমিনুর গ্রেফতার
- গাইবান্ধায় শিশু অধিকার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে মুখোমুখি সংলাপ
- ফুলছড়িতে ভুমি অফিসের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন কাজের শুভ উদ্বোধন
- গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের দায়িত্ব গ্রহণ
- পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমান থেরাপি চিকিৎসা সেবা ও হুইল চেয়ার বিতরণ
- টিকা নিলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতি মেনে চলুন: প্রধানমন্ত্রী
- সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ১৯৫০ অনুযায়ী আরো ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুপারিশ
- রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ
- সাদুল্লাপুরে সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে আমের মুকুল
- গোবিন্দগঞ্জে ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ ১ যুবক আটক
- ম্যাচ ফিক্সিংয়ে গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতা নেবে বাফুফে
- কেন মৃতব্যক্তির গোসলের পানিতে বরই পাতা দেয়া হয়?
- দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এসি ও ফ্যান চালানোর আগে যা করবেন
- দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমি ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে
- ভাষা ও স্বাধীনতার কথা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া কল্পনাই করা যায় না
- ভাঙলো তৃতীয় সংসার, ২২০ কোটি ডলারের সম্পত্তির কি হবে?
- ভুট্টা চাষে ভরে উঠেছে পলাশবাড়ীর চরঞ্চল এলাকা
- গোবিন্দগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য উন্মোচন
- অসহায়দের জন্য আমি শীত বস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছি: ডেপুটি স্পিকার
- গাইবান্ধায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটায় অভিযান ও ১৮ লাখ টাকা জরিমানা
- ৬০ ও ৮৪ কর্মদিবসে পড়ানো সিলেবাসে পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী
- সাঘাটায় নারী ক্রিকেটার মৃদুলাকে সংবর্ধিত করলেন ডেপুটি স্পিকার
- গোবিন্দগঞ্জে ভ্যান চালক হত্যার ৩ আসামীকে আটক করেছে র্যাব
- ফুলছড়িতে মাদ্রাসা উদ্বোধন করলেন ডিপুটি স্পিকার
- হরমোন সমস্যায় ভুগছেন বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- ক্রিকেট মাঠে বাড়ি বানাবেন পান্ট!
- উলট কম্বলের ভেষজ গুণ
- হারানো চুল ফিরিয়ে আনুন পান পাতা ব্যবহারে
- জয় হলো রিয়েলমি ৫ আইয়ের
- গাইবান্ধায় দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার
- বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নত জাত নিতে চায় নেপাল
- আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
- জাদু করা কুফরি ও কবিরা গোনাহ
- শিশুর মুখের ঘা দূর করতে যা করবেন
- বিএসটিআই’র অভিযানে পলাশবাড়িতে তিন ইটভাটায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা
- পথে পাওয়া টাকা কোথায় দান করা যাবে?
- কে হচ্ছেন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র?
