বাইডেনের শপথে অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভের আশংকা

আর মাত্র সপ্তাহখানেক পর ২০ জানুয়ারি শপথ নিবেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আশংকা করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এদিন অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকরা। সম্প্রতি এমনই খবর পেয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। 

প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন এফবিআই কর্মকর্তারা। তারপরই ওয়াশিংটনে ১৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এর মধ্যে প্রায় ছয় হাজার ন্যাশনাল গার্ড ওয়াশিংটনে পৌঁছে গিয়েছে। ক্যাপিটলে হামলার পরই তাদের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল।

গত বুধবার ওয়াশিংটনের ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর থেকেই ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে মার্কিন প্রশাসন। হোমল্যান্ড নিরাপত্তার প্রধান চ্যাড উলফ সোমবারই পদত্যাগ করেছেন। তবে এ দিন পদত্যাগের আগে তিনি জানিয়েছেন, সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সিকে ১৩ তারিখ থেকে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অর্থাৎ, ১৩ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ নজরদারি চালাবেন সিক্রেট সার্ভিসের কর্মীরা। ক্যাপিটলের ঘটনার জন্য সিক্রেট সার্ভিসের অনেক বেশি কর্মীকে ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে বলে এ দিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

এরই মধ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবারের ঘটনার পরেই ওয়াশিংটনে ছয় হাজার ২০০ ন্যাশনাল গার্ডকে পাঠানো হয়েছিল। ওই দিন তারা ওয়াশিংটনের রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চও করেছিল। তারপর থেকে ওই গার্ডদের ওয়াশিংটনেই রাখা হয়েছে। ২০ জানুয়ারির অনুষ্ঠানের জন্য আরো ১০ হাজার গার্ডকে ওয়াশিংটনে পৌঁছতে বলা হয়েছে। শনিবারের মধ্যে তারা সেখানে পৌঁছে যাবে।

এবারের অনুষ্ঠানে দর্শক থাকার বিষয়ে বহু নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটনে প্রয়োজন ছাড়া না যেতে। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়াশিংটনের সমস্ত মনুমেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতি বছর প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বহু দর্শক উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এবার করোনার জন্যই দর্শক রাখা হবে না বলে জানানো হয়েছে। তার উপর ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনার পর প্রশাসন আরো সতর্ক হয়ে গিয়েছে। তবে জানানো হয়েছে, দর্শকদের কথা ভেবে ওয়াশিংটন মলে ওই দিন নানা মাপের এক কোটি ৯১ হাজার ৫০০টি প্রতীকী পতাকা টাঙানো হবে।

গোয়েন্দাদের খবর, আগামী ১৬ তারিখ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের প্রতিটির রাজধানীতে অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নামতে পারে ট্রাম্পের সমর্থকরা। তারা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করবে। ওয়াশিংটনেও লাগাতার অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ হওয়ার সম্ভাবনার তথ্য মিলেছে। তারই ভিত্তিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হচ্ছে।

পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য জানিয়েছেন, এসব কোনো কিছুতেই তিনি ভয় পাচ্ছেন না।