করমচার প্রাকৃতিক গুনাগুন
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২১

করমচা টক জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ফলের নাম। এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যারিস ক্যারোন্ডাম। কনটোরটি বিভাগে অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করমচা ফলের আদি নিবাস ক্যারোনডাস প্রজাতির ভারতবর্ষ গ্রান্ডিফ্লোরা প্রজাতির দক্ষিণ আফ্রিকায় চাষ করা হচ্ছে।
অ্যাপোসাইনেসি শ্রেণীতে ১৫৫ বর্ণের প্রায় এক হাজার গোত্রের করমচা গাছ দেখা যায়। করমচা গাছ বেশ ঝোপতলা ধরনের শক্ত জাতের কাঁটাওয়ালা গুল্ম। বড় সাদা ও ফিকে গোলাপি রঙের সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত করমচা ফুল দেখতে কিছুটা কুন্ধ ফুলের মতো। এর ফলের রঙ কাঁচায় গাঢ় সবুজ,পাকায় লাল হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধরে এপ্রিল-মে মাসে। বর্ষায় ফল পাকে। করমচা চাষে জমি উঁচু হলেই ভালো,তবে নিচু জমিতেও চাষ করা চলে যদি পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকে। করমচা খুব শক্ত ধরনের গাছ এবং দেহে আঠালো রস থাকায় রোগ ও পোকায় সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
বর্ষার ফল করমচা। বৃষ্টি ভেজা করমচা ফল, পাতা ও গাছ দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর। আয় বৃষ্টি ঝেপে, ধান দেব মেপে। লেবুর পাতায় করমচা, ঝড়-বৃষ্টি ঝরে যা। ছোট বেলায় এই ছড়া আমরা অনেকেই পড়েছি। কিন্তু এখনো অনেকেই হয়ত সেই করমচা ফলটাই দেখিনি। যদিও বর্তমান সময়ে ঔষধি এই ফলটি দেশের অনেক এলাকায় বানিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। এখন দেশের বাজারগুলোতেও বর্ষার এই ফলটি বিক্রি করতে দেখা যায়। সাধারণত বর্ষা মৌসুমেই এ ফল বেশি হয়। করমচা ফলের গাছ বাংলাদেশের প্রায় সকল জায়গাতেই কমবেশি দেখা যায়। আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় তেমন কোন পরিচর্যা ছাড়াই এই করমচা চাষ করা যায়। ফলনও বেশ ভাল হয়। প্রথমে অনেকটা শখের বসে লাগালেও এখন বুঝতে পারছেন ফলটা অনেক দরকারী। এই ফল প্রায় সারা বছরই তরকারি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে যখন অনেক ফল আসে তখন পাকা করমচার রস দিয়ে জেলি তৈরি করা হয়। ফলটি বৃষ্টির পরশ পেলেই যেন লালচে হতে শুরু করে। এটি দেখতে অনেকটা কুলের মত। খেতে টক, জিহ্বায় রস আনার মত। তবে এটি পাকলে দেখতে অনেকটা জামের মতো। তখন খেতে কিছুটা মিষ্টি স্বাদ লাগে।
করমচা ফলের ব্যবহার:
ডায়াবেটিসঃ করমচায় ফ্যাট বা কোলেস্টেরল না থাকায় তা ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য খুব ভালো।
ওজন কমাতেঃ এই ফলটি ওজন কমাতে সাহায্য করে ও খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে। মৌসুমী সর্দি-জ্বর, স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধ ফলটি অতুলনীয়।
হৃদরোগঃ করমচা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃৎপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়। গায়ের চুলকানি ও ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধ করে এই করমচার। করমচা গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ী উপকারি ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সহায়তা করে করমচা। এছাড়া যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পেটের অসুখ নিরাময়, শরীরের ক্লান্তি দূর, বাতরোগ ও ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে করমচা। এছাড়াও করমচায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ যা চোখের জন্য উপকারী। করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়। বাতরোগ কিংবা ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে করমচা খুব উপকারী।
কাঁচা করমচার রস কৃমিনাশক হিসেবেও খুব ভালো। করমচা একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা থেকে শুরু করে ফল পর্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরা। এজন্য বাড়িতে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে করমচা লাগানো যেতে পারে।
করমচায় চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল থাকে না।শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও সাহায্য করে।যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধে আছে বিশেষ ভূমিকা।করমচাতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।করমচার কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।করমচার পটাশিয়াম শরীরের দূষণ বহিষ্কারকরণে সহায়তা করে।
করমচা ফলের রাসায়ানিক উপাদানঃ করমচাতে যে সমস্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য শর্করা বা এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, রিবোফ্লেভিন, নিয়াসিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, জলীয় রস, খনিজ,চর্বি, ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা , লিগনাম ইত্যাদি।

- বিদেশিদের টিকা নিবন্ধন শুরু ১৭ মার্চ
- বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় ইতালির রাষ্ট্রপতি
- আলুর ভালো দামে চাষির মুখে হাসি
- অর্থ লেনদেন পরিশোধ ব্যবসা উন্মুক্ত হচ্ছে
- পোশাক শ্রমিকরা বীমা সুবিধায় আসছেন
- ঢাকার খননে প্রাণ ফিরছে
- জাতিসংঘের সব দাপ্তরিক ভাষায় ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গ্রন্থ
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো রেলের ৮ ইঞ্জিন
- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৬৪ জেলায় পরিবেশ থিয়েটার
- ভাসানচর অনেক বেশি নিরাপদ, বলছে ঢাবির গবেষণা
- কমনওয়েলথের অনুপ্রেরণাদায়ী ৩ নারী নেতার একজন শেখ হাসিনা
- কপিরাইটের উদ্যোগ বঙ্গবন্ধুর সব ভাষণ
- ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের শ্রদ্ধা
- পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হলেন ৩৩৭ কর্মকর্তা
- পলাশবাড়ীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
- গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চালু হলো ইসিজি মেশিন
- গাইবান্ধা জেলা পুলিশের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ
- ৭ই মার্চ উপলক্ষে গোবিন্দগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ
- নারী দিবসে ৫ জয়িতাকে সম্মাননা দিচ্ছে সরকার
- এক মাসে টিকা নিলেন প্রায় ৩৭ লাখ
- ধারাবাহিক সরকার গঠন করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি
- ডাস্ট এলার্জি থেকে রক্ষা পেতে যা খাবেন
- দাঁড়িয়ে কুরআন খতমই স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ আয়োজন!
- অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড
- গুগল প্লে-স্টোরে ৭ মার্চের ভাষণ
- গরমে যেভাবে অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত্ন নেবেন
- প্রতারণার স্বীকার মিমি
- সিনেমার ট্রেলার নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন ঝন্টু
- নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি এ বছরেই
- বৃদ্ধাশ্রমে বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম এর খাদ্য সহায়তা প্রদান
- সাঘাটায় নারী ক্রিকেটার মৃদুলাকে সংবর্ধিত করলেন ডেপুটি স্পিকার
- পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমান থেরাপি চিকিৎসা সেবা ও হুইল চেয়ার বিতরণ
- ফুলছড়িতে মাদ্রাসা উদ্বোধন করলেন ডিপুটি স্পিকার
- বুকের কফ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়
- হারানো চুল ফিরিয়ে আনুন পান পাতা ব্যবহারে
- গাইবান্ধায় ১৮ মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কোলন ক্যান্সার হলে নারীরা যেভাবে বুঝবেন
- জাদু করা কুফরি ও কবিরা গোনাহ
- নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে সোনার বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী
- ভাইবারে ৮৯ শতাংশ বাংলাদেশি গোপনীয়তাকে গুরুত্ব দেয়
- যে গোনাহ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না
- ঐশ্বরিয়াকে ‘ডিভোর্স’ দিচ্ছেন অভিষেক, গুঞ্জন না সত্যি
- বিএসটিআই’র অভিযানে পলাশবাড়িতে তিন ইটভাটায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা
- লাউ খেয়ে বাড়িয়ে নিন ব্রেন পাওয়ার
- দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এসি ও ফ্যান চালানোর আগে যা করবেন
- গুলঞ্চের ঔষধি গুনাগুন
- মেরিটাইম ইনস্টিটিউট পাচ্ছে গাইবান্ধা
- জুমার দিনের সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ যেসব আমল
- বিশ্বনবি যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতেন
- ঠোঁটে ঠোঁট রেখে স্বামীর জন্মদিন মাতিয়ে দিলেন শুভশ্রী
