অক্সিজেনের ন্যূনতম মূল্য ১০০-১২০ টাকা
দৈনিক গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২১

খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সিলিন্ডার অক্সিজেনের ক্ষেত্রে (প্রতি মিনিট ২ থেকে ৫ লিটারের ফ্লো হিসাবে) এক দিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমে একই ফ্লো’র ক্ষেত্রে এক দিনের জন্য রোগীকে পরিশোধ করতে হবে ১২০ টাকা। অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখা থেকে পাঠানো এই প্রস্তাব ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে দেশে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বেসরকারি পর্যায়ের হাসপাতালগুলো রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো অক্সিজেনের দাম আদায় করে থাকে। এমনকি মাত্র দুই দিন চার থেকে ৫ ঘণ্টা করে অক্সিজেন গ্রহণ করায় রোগীকে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। এই দাম নির্ধারণের ফলে এখন থেকে আর ইচ্ছামতো অক্সিজেনের বিল আদায় করতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলো।
২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ সম্পর্কিত নির্দেশনায় দেখা যায়, সেখানে একক অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মেনিফোল্ড অক্সিজেন সিস্টেমে দৈনিক (প্রতি ২ থেকে ৫ লিটার প্রতি মিনিট হিসাবে) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ১১৪ টাকা। প্রতি মিনিট ৬ থেকে ৯ লিটার হিসাবে অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ হয়েছে ১২৫ টাকা। বিভিন্ন খরচ ও লাভসহ যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ১৪১ টাকা। ১০ থেকে ১৫ লিটার হিসাবে প্রতি মিনিট অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ হয়েছে ১৫০ টাকা, যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ১৬৪ টাকা।
সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম (জেনারেটর বেইজড) প্রতি ২ থেকে ৫ লিটার প্রতি মিনিট হিসাবে দৈনিক ব্যবহারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ১৫০ টাকা। প্রতি মিনিট ৬ থেকে ৯ লিটার হিসাবে অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ হয়েছে ৩০০ টাকা। বিভিন্ন খরচ ও লাভসহ যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ৩২১ টাকা। এবং ১০ থেকে ১৫ লিটার প্রতি মিনিট হিসাবে অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ হয়েছে ৩৫০ টাকা, যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ৩৮০ টাকা।
সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম (লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক বেইজড) প্রতি ২ থেকে ৫ লিটার হিসাবে প্রতি মিনিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ১৪০ টাকা। প্রতি মিনিট ৬ থেকে ৯ লিটার হিসাবে অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ হয়েছে ২৫০ টাকা। বিভিন্ন খরচ ও লাভসহ যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ২৭১ টাকা। এবং ৩০০ থেকে ১৫ লিটার প্রতি মিনিট অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ হয়েছে ৩২৫ টাকা, যার প্রস্তাবিত মূল্য ছিল ৩৮০ টাকা।
এছাড়া হাইফ্লো নেজাল কানুলাসহ সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম ৬০ থেকে ৮০ লিটার প্রতি মিনিট হিসাবে এক জন রোগীর এক দিনের ব্যবহৃত অক্সিজেনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) রোগী ছাড়া কোনো রোগীরই টানা এক থেকে দুই ঘণ্টার বেশি অক্সিজেনের দরকার হয় না। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো রোগীদের কাছ থেকে এক ঘণ্টার অক্সিজেন বিল নিয়ে থাকে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্বাসতন্ত্রের রোগ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবস্থা জটিল হলে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হয়। করোনা রোগীদের অক্সিজেনের উৎস ও সরবরাহের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্তর্র্বর্তীকালীন নির্দেশিকা প্রকাশ করে ৪ এপ্রিল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব মারাত্মক ও জটিল করোনা রোগীকে অক্সিজেন দিতে হবে। ১০০ জন আক্রান্তের মধ্যে এ রকম রোগী থাকেন কমপক্ষে ২০ জন।
অক্সিজেন নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে গণমাধ্যমে উঠে এলে গত ৬ জুলাই ‘১০ কার্যদিবসের মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।’ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ ওইদিন এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আরও চার দফা নির্দেশনা দেন আদালত।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ‘পরবর্তী দশ কার্যদিবসের মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাজারে অক্সিজেন সিলিন্ডারের দাম নিয়ন্ত্রণে দ্রুত এর যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশনার পর স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো (সিএমএসডি) পরিচালক সরকারের উচ্চপর্যায়ে একটি চিঠি দেন।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘হাইকোর্টের আদেশের আলোকে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও রিফিলিংয়ের খুচরা মূল্য নির্ধারণের জন্য সিএমএসডিকে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু সিএমএসডি কোনো নীতিনির্ধারণী বা রেগুলেটরি সংস্থা নয়। কোনো পণ্যমূল্য নির্ধারণ সিএমএসডির কর্মপরিধিভুক্ত নয়। তাই সিএমএসডির পক্ষে অক্সিজেন সিলিন্ডার বা রিফিলিং বা কোনো পণ্যের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করার আইনগত সুযোগ নেই।’
সিএমএসডি পরিচালক চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলে সিএমএসডি কর্তৃক হ্রাসকৃত ১৫ হাজার টাকা হারে অক্সিজেন সিলিন্ডিারের মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব দিতে পারে। অথবা হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করে নির্ধারিত খুচরা মূল্য সুপারিশসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রেরণ করতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে সরকার অনুমোদিত মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে চারটি- লিন্ডে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল গ্যাস লিমিটেড, স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লি. ও ইসলাম অক্সিজেন প্রাইভেট লিমিটেড। মেডিকেল অক্সিজেনের বাজারের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বহুজাতিক কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ।
কোম্পানিটির দৈনিক গ্যাস উৎপাদন সক্ষমতা ১২০ টন। চাহিদার ভিত্তিতে মেডিকেল অক্সিজেনসহ বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো কিংবা কমানোর সুযোগ রয়েছে তাদের। গত বছর কোম্পানিটি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকার মেডিকেল গ্যাস বিক্রি করেছে। মেডিকেল গ্যাসের মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণই বেশি।
সামগ্রিক বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে অক্সিজেনের একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণে তিনি একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। যারা সরকারি হাসপাতালের অক্সিজেনের ব্যয়ের পরিমাণ নিরীক্ষা করে ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি খাতে অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ করেছে। যা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এখন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই মূল্যে রোগীদের অক্সিজেন সেবা দিতে হবে।

- নতুন পরিচয়ে দেশ ॥ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীলের মর্যাদা
- সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী
- কৃষি আধুনিকীকরণ করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প
- করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় জাতিসংঘ মহাসচিব
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ফের পর্যালোচনা করা হবে ॥ আইনমন্ত্রী
- স্বপ্নের হাতছানি কক্সবাজার রেললাইন
- রোবটকে বাংলায় কথা বোঝানোর প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে : পলক
- খুঁজে খুঁজে প্রকল্পের গাড়ি উদ্ধার
- নতুন রূপে সাজছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
- গাল্ফফুড প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, রপ্তানিতে অবদানের অপার সম্ভাবনা
- সিরিয়ার সেনাঘাঁটিতে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা ইরানের
- সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণ: ৩২৭ কোটি মানুষের পাসওয়ার্ড হ্যাক
- মিমির সঙ্গে রাজ! আশঙ্কায় মুখ ভার শুভশ্রীর
- প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে শেখ রেহানা
- পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র: কৃষিমন্ত্রী
- অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
- মুশতাকের স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মিডিয়ায় অপপ্রচার, নেপথ্যে কারা
- সাঘাটায় আরসিসি ব্রীজের ভিত্তি স্থাপন করেন ডেপুটি স্পিকার
- গাইবান্ধা চরের নিত্যদিনের বাহন ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ী
- গাইবান্ধা শহরের পুরাতন ঘাঘট নদীর ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- গাইবান্ধায় মামলা নিষ্পত্তিতে অগ্রগতি
- ৯৯৯ এ কল, যাত্রীবাহী নৌকা উদ্ধার করলো কোস্টগার্ড
- পাথর কুচি গাছের গুনাবলি
- উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ
- `দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে`
- কালো তুঁত
- ফুলছড়িতে মরিচ চাষে লাখপতি হয়েছেন কৃষকরা
- গোবিন্দগঞ্জে বাইচ নৌকা পাওয়ার এক্সপ্রেসের উদ্বোধন
- দুধ ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে নয়
- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুনঃনিরীক্ষার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গোবিন্দগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য উন্মোচন
- গাইবান্ধায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটায় অভিযান ও ১৮ লাখ টাকা জরিমানা
- ৬০ ও ৮৪ কর্মদিবসে পড়ানো সিলেবাসে পরীক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী
- সাঘাটায় নারী ক্রিকেটার মৃদুলাকে সংবর্ধিত করলেন ডেপুটি স্পিকার
- গোবিন্দগঞ্জে ভ্যান চালক হত্যার ৩ আসামীকে আটক করেছে র্যাব
- পলাশবাড়ীতে ভ্রাম্যমান থেরাপি চিকিৎসা সেবা ও হুইল চেয়ার বিতরণ
- ফুলছড়িতে মাদ্রাসা উদ্বোধন করলেন ডিপুটি স্পিকার
- ক্রিকেট মাঠে বাড়ি বানাবেন পান্ট!
- হরমোন সমস্যায় ভুগছেন বুঝবেন যেসব লক্ষণে
- জয় হলো রিয়েলমি ৫ আইয়ের
- বাংলাদেশ থেকে ধানের উন্নত জাত নিতে চায় নেপাল
- হারানো চুল ফিরিয়ে আনুন পান পাতা ব্যবহারে
- গাইবান্ধায় দুই জঙ্গি গ্রেপ্তার
- আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
- জাদু করা কুফরি ও কবিরা গোনাহ
- শিশুর মুখের ঘা দূর করতে যা করবেন
- বিএসটিআই’র অভিযানে পলাশবাড়িতে তিন ইটভাটায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা
- নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে সোনার বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী
- গাইবান্ধায় ১৮ মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার
- কে হচ্ছেন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার মেয়র?
