রোজায় পুষ্টিকর ইফতারে যা থাকবে
সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে এমন খাবার থাকা চাই, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। নইলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাইতো আমাদের সবারই ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। তবে অনেকেরই ঠিক জানা নেই কোন খাবারগুলো ইফতারের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত।
সারাদিনের রোজা শেষে ইফতারে খেতে হবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। যা এ সময় দেহে শক্তি যোগাবে। সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে। যদি ইফাতারে সঠিক খাবার না খাওয়া হয়, তাহলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্কতা আবশ্যক। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ইফতারে কোন খাবারগুলো খাবেন-
ডাবের পানি
এতে আছে ইলেকট্রোলাইটস। আরও আছে অনেক খনিজ এবং ভিটামিন উপাদান। যা নিমেষেই শরীরের ক্লান্তি দূর করে। এছাড়াও শরীরের পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটায় এবং দেহের পানির চাহিদা পূরণ করে। ইফতারে ডাবের পানি পান করলে শরীর দূর্বল হওয়ার সম্বাবনা থাকবে না।
খেজুরের স্মুদি
খেজুরে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল। আর দুধেও থাকে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ। এ কারণে খেজুরের স্মুদি ইফতারের খাওয়া মাত্রই সারাদিনের ক্লান্তি দূর হবে সহজেই।
এক গ্লাস দুধ এবং চার থেকে পাঁচটি খেজুর ব্লেন্ড করে সহজে তৈরি করে নিতে পারবেন পুষ্টিকর এ পানীয়টি। ইফতারে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেজুরের স্মুদি বেশ প্রশান্তি দেবে।
মৌসুমী ফল
সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে রোজার সময় স্বাভাবিকভাবেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয়। তখন শরীর বিশেষ কিছু পেশিকে ভেঙে সেই এনার্জির চাহিদা পূরণ করে। তাই ফল খেয়ে রোজা ভাঙার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে তরমুজ, বাঙ্গি, আঙুর অথবা আপেলের মতো ফল খেতে হবে। কারণ এসব ফলে থাকা পানি এবং পুষ্টি উপাদান ঘাটতি দূর করে। ফলে দেহের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। সঙ্গে হজম ক্ষমতারও উন্নতি ঘটে।
আরও উপকার পেতে ইফতারে এক গ্লাস ফলের রস খান। মনে রাখবেন রোজা ভেঙেই লেবুর মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল খাবেন না। কারণ এসব ফল অ্যাসিডিক। খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
বাদাম
হাতের কাছে ফল-মূল না থাকলে কয়েকটি কাঠবাদাম খেয়েও রোজা ভাঙতে পারেন। এতে উপস্থিত উপকারী ফ্যাট, শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আবার খিদেও মেটায়। এমনকি ক্লান্তিও দূর হয়। এ কারণেই ইফতারের সময় কাঁচা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সবজি
পালং, লেটুস অথবা বিটের রস খেয়েও রোজা ভাঙতে পারেন। এছাড়াও সবজি সিদ্ধ করে খেলেও কিন্তু বেশ উপকার মেলে। কারণ সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। যা নিমেষে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
এমনকি শরীরের গঠনেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। অন্যদিকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে বিষমুক্ত করে। ফলে ভেতর এবং বাইরে থেকে শরীরে বেশ চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ক্লান্তিও দূর হয়। সবজির পাশাপাশি সালাদও খেতে পারেন।
সূত্র: হেলথলাইন
দৈনিক গাইবান্ধা