শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৭:১০, ২৪ এপ্রিল ২০২০

যেভাবে ২ মিনিটেই মারা যাবে করোনাভাইরাস, মার্কিন গবেষণা

যেভাবে ২ মিনিটেই মারা যাবে করোনাভাইরাস, মার্কিন গবেষণা

তীব্র রোদে দুর্বল হয়ে পড়ে করোনাভাইরাস, এমনই মত যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিওরিটিস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিরেক্টরেটের প্রধান উইলিয়াম ব্রায়ানের। ব্রায়ান জানান, শুধু তীব্র রোদই নয়, করোনাভাইরাস কার্যক্ষমতা সাময়িকভাবে হারায় গরম ও আর্দ্র আবহাওয়াতেও। 

বৃহস্পতিবার তিনি আরও বলেন, গরমকাল চলছে। ফলে খুব বেশিদিন আর চোখ রাঙাতে পারবে না করোনাভাইরাস। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ব্রায়ান জানান, মার্কিনী গবেষকরা এই ইস্যুতেই কাজ করছেন। গবেষকরা বলছেন, ঘরের মধ্যে শুষ্ক ও বদ্ধ পরিবেশে জীবন্ত হয়ে ওঠে এই ভাইরাস। কিন্তু সরাসরি সূর্যের আলো পড়লে কর্মক্ষমতা হারায় করোনা। ধীরে ধীরে মারাও যায়।

এই তথ্যই আশা যোগাচ্ছে। নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ফুসফুসের রোগগুলোর লক্ষণ করোনাভাইরাসের রোগের মধ্যে রয়েছে, ফলে গরমে এই রোগগুলোর প্রতিকার হতে পারলে, করোনাভাইরাসের প্রতিকারও সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিঙ্গাপুরের মত গরম জায়গাতেও সমান সক্রিয় করোনা। সেটাই ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই রিপোর্টকে সমর্থন করে জানান, এই তথ্য তিনিও আগে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু কেউ সেভাবে বিশ্বাস করেনি। তাই রিপোর্ট প্রকাশের আগে যথাযথ তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন।

জানা গেছে, স্টেনলেস স্টিলের মত জায়গায় নিজের কার্যক্ষমতা হারাতে ১৮ ঘণ্টা সময় নেয় করোনাভাইরাস। সাধারণ আর্দ্র আবহাওয়ায় এই সময় লাগে। তবে উচ্চ আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়ায় সময় নেয় ৬ ঘণ্টা। এর সঙ্গে সরাসরি রোদ লাগলে দুই মিনিটেই মরতে পারে করোনাভাইরাস।

সূত্রের খবর, ১০ সপ্তাহের একটি ট্রায়াল চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা, যাতে দেখা হচ্ছিল ঠিক কোন পথে করোনার জবাব আসে। প্রায় ২০০ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

তারা দেখছিলেন, ভিটামিন ডি বা সূর্যালোকে অবস্থিত ভিটামিন মানব শরীরে কাজ করে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে কি না। 

উল্লেখ্য, সূর্যালোকে উপস্থিত ভিটামিন ডি মানব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেসব মানুষ রোদে বেরোন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি’র উপস্থিতির হার বেশি।

অন্যদিকে, একই বিষয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের গবেষকরা। তারা বলেছেন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ভিটামিন ডি’র সাপ্লিমেন্ট খেলে ৫০ শতাংশ কম ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হন।

সাসেস্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জেন্না ম্যাকিওশি বলছেন, যদি একজন মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় হারে ভিটামিন ডি উপস্থিত থাকে, তবে অন্যান্য মানুষের তুলনায় তিনি ঠাণ্ডা লাগার অসুখে তিন থেকে চারগুণ কম ভুগবেন। এই তথ্য প্রমাণিত ইতোমধ্যেই। সুতরাং বিজ্ঞানীরা মনে করছেন করোনাভাইরাস শ্বাসবাহিত ও ফুসফুসের অসুখ হওয়ায় ভিটামিন ডি এতে কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু