যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বিক্ষোভ, হোয়াইট হাউস লকডাউন
পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভের কবল থেকে বাদ যায়নি দেশটির প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসও। সেখানে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ-আন্দোলনের ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে হোয়াইট হাউস লকডাউন করে দেয়া হয়।
গত সোমবার জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার করে জর্জ ফ্লয়েড নামে কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবককে হাঁটু চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ অফিসার।
পরবর্তীতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র প্রতিবাদ-আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে মিনেসোটাসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানে।
এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার পুলিশ অফিসারকে এরইমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে হত্যা মামলাও। ফ্লয়েডকে হাঁটু চাপা দিয়ে যে পুলিশ অফিসার হত্যা করেছে সেই ডেরেক চাওভিনের বিরুদ্ধে গুরুতর হত্যা ‘থার্ড-ডিগ্রি মার্ডার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না।
এই হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিও অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তুমুল ধ্বংসযজ্ঞে রূপ নিয়েছে।
শুক্রবার হোয়াইটহাউসের বাইরে বিক্ষোভ চলছিল তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যানসনেই অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সামনে বাধা সৃষ্টি করে নিরাপত্তাকর্মীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাদের হত্যা বন্ধ করুন’ স্লোগান ধরতে শোনা যায়। তবে হোয়াইট হাউসের বাইরে ওয়াশিংটন ডিসিতে রাস্তাগুলোতে চলা বিক্ষোভ ব্যাপক সহিংসতায় রূপ নেয়।
এদিকে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালেজ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাময়িকভাবে কারফিউ জারি করেছেন। সে অনুসারে কেউ রাত ৮ টার পর রাস্তায় বের হলে কিংবা জনপরিসরে থাকলে জেল এবং এক হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।
তবে কারফিউ ভঙ্গ করে বিক্ষোভকারী শুক্রবার রাত পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করে। মিনেসোটা ছাড়াও নিউ ইয়র্ক, হিউস্টন, আটালান্টা, ডেট্রোয়েট, লাস ভেগাস, সান জোসে ও মেম্পিসেও বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে।
দৈনিক গাইবান্ধা