শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ৩১ অক্টোবর ২০২০

প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত এসব ভ্রান্ত ধারণায় ক্ষতি হতে পারে শিশুর

প্রেগনেন্সি সম্পর্কিত এসব ভ্রান্ত ধারণায় ক্ষতি হতে পারে শিশুর

প্রত্যেক মা সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভাবস্থায় নানা বিধি-নিষেধ মেনে থাকেন। কীভাবে নিজে ও শিশুকে আরো সুরক্ষিত রাখা যায় সেসব এখনকার মায়েরা ইন্টারনেটে জানার চেষ্টা করেন। 

তবে জানেন কি? প্রেগনেন্সি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুক থেকে ইউটিউবে। যা মানলে অনেক সময় শিশুর ক্ষতি হতে পারে। আজ তেমনি ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে জানাবো, যে কেন মানবেন না তারও জেনে নিন- 

> চওড়া কোমর থাকলে বাচ্চা জন্ম দিতে সুবিধা হয়। চওড়া কোমর বলতে বৃহত্তম ইলিয়ামকে বোঝায় যা কোমরের বৃহত্তম এবং উপরের অংশ। ইলিয়াক ক্রেস্টের মধ্যকার দূরত্বের উপর বার্থ ক্যানেলের আকার নির্ভর করে না। 

এটি পেলভিসের মাঝখানে বৃত্তাকার গর্তের আকার যার উপর বাচ্চার জন্ম নির্ভর করে। এটি পেলভিস ইনলেট নামে পরিচিত এবং কোনো নারীর কোমর বড় বা ছোট এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

> পেটের আকার-আকৃতি নির্দেশ করে যে শিশুটি ছেলে না মেয়ে। একটি শিশুর লিঙ্গ এভাবে চিহ্নিত করা খুব সুবিধাজনক। তবে দুর্ভাগ্যবশত এটি এতো সহজ নয়। 

গর্ভবতী নারীর গন্ডের আকার প্রভাবিত করতে পারে যে দুটি জিনিস তা হলো গর্ভের আকার এবং গর্ভে শিশুর অবস্থান। 

> একাধিক আল্ট্রাসাউন্ড শিশুর জন্য নিরাপদ নয়। সঠিকভাবে ব্যবহৃত প্রসবের আল্ট্রাসাউন্ড একটি মা বা তার শিশুর ক্ষতি করে তার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। 

আল্ট্রাসাউন্ড বিকিরণ ব্যবহার করে না, এটা উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে যা শিশুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একটা ছবির সৃষ্টি করে। তবে এই তরঙ্গের তীব্রতা খুব কম এবং পদ্ধতিটি বেশ দ্রুত শেষ হয়।

> পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে থাকা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। একজন শিশু পেশীবহুল জরায়ুতে গভীরভাবে লুকানো এবং সুরক্ষিত থাকে। 

গর্ভবতী নারীর যতোক্ষণ এটি আরামদায়ক লাগে, ততোক্ষণ পর্যন্ত তার পেটে ভর দিয়ে ঘুমাতে পারেন। মায়ের কোনো সমস্যা না হলে শিশুরও কোনো ক্ষতি হবে না। 

> মর্নিং সিকনেস শুধু সকালেই এবং গর্ভাবস্থার প্রথম চক্রে অনুভূত হয়। মর্নিং সিকনেস গর্ভাবস্থার সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ। ৮০ শতাংশ নারী এই সমস্যায় ভোগেন, তবে মাত্র ২ শতাংশ সকালে এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। 

যদিও এটির নাম মর্নিং সিকনেস, এটি দিনের যে কোনো সময় হতে পারে। কিছু বিশেষজ্ঞ এটার নাম বদলিয়ে অল ডে সিকনেস এর প্রস্তাব করেছেন। 

অন্যদিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার প্রথম চক্রে এটি বেশি ঘটে। তবে ২০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে এটি ডেলিভারি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু