প্রযুক্তি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা দিল চীনা দূতাবাস
রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে বৃহস্পতিবার এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমপিং। কি-নোট স্পিচ দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. একেএম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমপিং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে নিবিড় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এখানকার মানবসম্পদের প্রশিক্ষণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে চীন। এছাড়াও প্রতি বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য চীন সরকার বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে। ২০১৩-১৮ সালের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ২৭৮ জন সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবী চীন সরকারের আওতায় চীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়ও আমাদের এ ধরনের সাহায্য অব্যাহত থাকবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. একেএম মতিউর রহমান বলেন, চীন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ট্রেনিং পার্টনার। একই সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নেও চীন আমাদের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী বন্ধু। আমি আশা করি এ ধরনের প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে কর্মদক্ষতা বাড়িয়েছে। ফলে তাদের সংস্থাগুলো মূলত উপকৃত হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।
চীনা সরকারের তথ্য মতে, শুধু ২০১৯ সালেই বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের প্রায় পঞ্চাশ হাজার কর্মকর্তা এবং পেশাজীবী পাড়ি জমিয়েছেন চীনে। স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন প্রশিক্ষনে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে অংশগ্রহনকারীরা নিজ নিজ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন বলে জানান আয়োজকরা।
দৈনিক গাইবান্ধা