বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ || ৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১২ জানুয়ারি ২০২১

প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ঘর পেলেন সাদুল্লাপুরের আমেনা

প্রধানমন্ত্রী দেওয়া ঘর পেলেন সাদুল্লাপুরের আমেনা

আসলে কেউ কথা রাখেনি সকলেই শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যস্ত রয়েছেন, একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন জনগণের জন্য সর্বদা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পিতার মতো দেশ ও দেশের মানুষকে আগলে থাকবেন।

কারণ বাংলা ও বাঙ্গালী পিতা মুজিবের কলিজ্বাসম প্রিয় ছিলো সেই প্রিয় দেশ ও দেশের জনগণের জন্য তিনি আমাদের বাংলা ও বাঙ্গালীর অভিভাবক । সুখে দুখে তাকে আমরা সব সময় পাবো এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের দেওয়া দায়িত্বপালনে তার সব কিছু দেখা সম্ভব হয়ে হয় না।

যে সব বিষয় তাহার নজরে আসে বা কানে শুণে, সে সব বিষয়ে ভালোভাবে খোজ খবর গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন । এবার উত্তরের জনপদ গাইবান্ধা জেলা সাদুল্লাপুরের অসহায় এক দম্পতি পেলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকাবাড়ী ।

‘কেউ কথা রাখেনি গৃহহীন আমেনার’ শিরোনামে সংবাদটি বিভিন্ন পত্রিকাসহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন সাংবাদিক তোফায়েল হোসেন জাকির। এ সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোছর হলে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমেনার জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ১১ জানুয়ারী সোমবার বিকেল গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামস্থ আমেনার জন্য বরাদ্দের ঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।

এ অনুষ্ঠানে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহহারিয়া খান বিপ্লব, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নবীনেওয়াজ, সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহজাহান সোহেল, সদস্য তাজুল ইসলাম রেজা, ওই সংবাদের প্রধান প্রতিবেদক তোফায়েল হোসেন জাকির, ধাপেরহাট প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক মাসুদ মো. আনোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সুবিধাভোগি আমেনার জন্য ফুল-ফল, চাল-ডালসহ বিভিন্ন ধরণের খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়।

শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া পাঠ করেন সুবিধাভোগি আমেনা বেগম নিজেই। এসময় আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী সৈয়দ আলী ও একটি মাত্র প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে ভাঙাঘরে আতঙ্কে রাতযাপন করছিলাম। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাকা ঘর দেওয়ায় অকেকটাই আনন্দিত। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীঘায়ু কামনা করছি। একই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলার চেয়ারম্যানের ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আমেনা বেগম।

উল্লেখ্য, ৭০ উর্দ্ধো বয়সের বৃদ্ধা আমেনা বেগম। স্বামী সৈয়দ আলী বয়সের ভারে ন্যুব্জে পড়েছে। বয়স হয়েছে এ দুই জনের বাধ্যকতায় তাদের দাম্পত্য জীবনে একমাত্র সন্তান রাজ্জাক মিয়া। সেও মানসিক প্রতিবন্ধী। বসবাসের জন্য পলিথিন আর খড়ের বেড়া দিয়ে তুলেছে একটি ছাপড়া ঘর। জরাজীর্ণ এ ঘরে স্বামী-সন্তানের বসবাস। আকাশের মেঘ দেখলে আতঙ্ক বিরাজ করে তাদের মনে। একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই দৌড় দিতে হয় অন্যের বাড়িতে। এছাড়া রান্না ঘর, টিউবয়েল-টয়লেটেও নেই তাদের। নেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও। যেনো অন্ধকার ভুতড়ে বসবাস। খোলা আকাশের নিচে রান্নাবান্না সারতে হয় আমেনাকে। প্রতিবন্ধী ছেলে রাজ্জাক মিয়া ভবঘুরে।

স্বামী সৈয়দ আলীর শরীরেও নানা রোগে বাসা বেঁধেছে। একই অবস্থা আমেনা বেগমেরও। তবুও পেটের তাগিতে ছুটতে হয় মানুষের দুয়ারে। দিনশেষে যেটুকু রোজগার হয়, তা দিয়ে পেট পুড়ে খেতে হয়। স্বামী-স্ত্রী সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। কারণ একটাই, ভাঙাচুরা ঘর। কখন দুর্যোগ উঠে এমন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের।

তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পলিথিন ঘরে বসবাস করে আসছিলেন আমেনা বেগম ও তার পরিবারটি। এ সংবাদটি প্রকাশের পর আমেনা বেগমের জন্য পাকা ঘর উপহার দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। সংবাদটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনসুইজারল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় কিবৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলাসবাই ঈদের নামাজে গেলে শাহনাজের ঘরে ঢুকে প্রেমিক রাজু, অতঃপর...