পরিবারের পুষ্টির পর বাড়তি চাহিদা মেটাচ্ছে সবজি চাষ
সবজি এখন বছরজুড়েই চাষ হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এ উপজেলায় ভোজনে একসময় শীতকালীন সবজির ভরসা থাকলেও এখন দিন বদলেছে। পতিত জমি, বাড়ির উঠান, বাসার ছাদে চাষ হচ্ছে সবজি। সবাই এখন পাতে পাচ্ছেন শখের সবজি।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দিন দিন সবজি চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারো বাড়ির ছাদ কিংবা উঠানের ছামিয়ানায় ঝুলছে বরবটি, করলা, লাউ , পুইশাখ,লালশাখ, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, বেগুনসহ নানা প্রকার সবজি। এসব সবজিতে নেই কীটনাশক। কম শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবেও এ চাষ করছেন কৃষকেরা।
তারাগন, দেবগ্রাম, নারায়ণপুর, কালিনগর, সাতপাড়া, হীরাপুর, বাউতলা, উমেদপুর, আজমপুর, চানপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সবজি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে কৃষককের মাঝে স্বল্প মেয়াদি শাক সবজি ও মধ্য মেয়াদি লতা জাতীয় শাক সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। একজন কৃষককে লাল শাক, ডাটা শাক, কলমি শাক, পুইশাক, পালং শাক,শসা, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ ১৩ প্রকারের সবজি বীজ দেয়া হয়।
কৃষক মো. ফরিদ মিয়া বলেন, কোনো প্রকার কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে লাউ, করলা, লাল শাক করা হয়েছে। জমি তৈরি করে বীজ লাগানোর এক সপ্তাহরে মধ্যেই চারা গজিয়ে উঠে। এরপর পরিচর্যা, পানি, সার ও মাচা তৈরিসহ অন্যান্য কাজ করা হয়। গত ১০দিন ধরে চলছে সবজি বিক্রি।
কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী পতিত জমিতে করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, কাকরল, সিম, টমেটো, পুইশাকসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করছেন আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, সবজি চাষ করেই আয় হচ্ছে। স্বাবলম্বী হচ্ছি দিনের পর দিন। এ সবজি চাষ করেই ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছি।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বারোমাসই নানা প্রকার সবজি আবাদ হচ্ছে। কৃষককের মাঝে স্বল্প মেয়াদি শাক সবজি ও মধ্য মেয়াদি লতা জাতীয় শাক সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। সেসঙ্গে ফলন বৃদ্ধিতে সব সময় স্থানীয় কৃষকদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ।
দৈনিক গাইবান্ধা