শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জঙ্গিরা

গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জঙ্গিরা

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা বিভিন্ন গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ চালায়। বড় কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া সাধারণত তারা কখনো একসঙ্গে জড়ো হয় না। নিজেদের মধ্যে পরিচিত না হয়েই তারা ‘কাট-আউট’ পদ্ধতিতে চলাচল করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।

সম্প্রতি একটি হামলার পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আনসার-আল ইসলামের কয়েকজন একসঙ্গে মিলিত হয়। তবে বাস্তবায়নের আগেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় র‌্যাব। শুক্রবার রাতে রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুর ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের ছয় সদস্যকে আটক করে র‌্যাব-৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, মোবাইল, ল্যাপটপ ও জঙ্গিবাদী ট্রেনিংসহ বিভিন্ন কনটেন্ট উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলেন- শফিকুল ইসলাম ওরফে সাগর ওরফে সালমান মুক্তাদির (২১), ইলিয়াস হাওলদার ওরফে খাত্তাব (৩২), ইকরামুল ইসলাম ওরফে আমীর হামজা (২১), আমীর হোসাইন ওরফে তাওহীদি জনতার আর্তনাদ (২৬), শিপন মীর ওরফে আব্দুর রব (৩৩) ও ওয়ালিউল্লাহ ওরফে আব্দুর রহমান (২৫)।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, আটকদের মধ্যে সালমান মুক্তাদির দেশব্যাপী অনলাইনে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। আব্দুর রহমান ঢাকা বিভাগের ও আমির হামজা খুলনা বিভাগের সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।এদের সবাই ২-৫ বছর ধরে আনসার-আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত। তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে। অর্থাৎ তারা যেকোনো মূল্যে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

আনসার-আল ইসলাম বর্তমানে দুই ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। প্রথমত মোটিভেশনাল কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্য বৃদ্ধির কাজ। ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দ্বিতীয়ত, তারা মনে করে সবাইকে হত্যা করে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তবে যারা সরাসরি ইসলামী রাজনীতির বিরোধিতা করে, যারা নাস্তিক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া।

র‌্যাব-৪ অধিনায়ক আরো বলেন, অতীতের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আনসার-আল ইসলামের সদস্যরা টার্গেট ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় না। তারা এক্ষেত্রে সাধারণত চাপাতি ব্যবহার করে থাকে। সদস্যরা কোনো বড় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া কখনো এক হয় না। একে অন্যের সঙ্গে গোপন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

বড় ধরনের কোনো নাশকতা ‘লোন উলফ’ হামলার পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা উত্তরায় এক হয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতের কোনো কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত ছিলো বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে এসব ঘটনাকে তারা ‘জায়েজ’ বলে মনে করে। সুনির্দিষ্ট কোথায় হামলা করা হতো, এ বিষয়ে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু