গাইবান্ধায় হারভেস্টার মেশিন দিয়ে চলছে ধান কাটা
গাইবান্ধা জেলায় শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। এসব ধান ঘরে তুলতে অধিক খরচ কমাতে ও শ্রমিক সংকট সামাল দিতে কৃষকের মাঠে দাপিয়ে চলছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন।
গতকাল শুক্রবার সকালে গাইবান্ধার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্দি এলাকায় দেখা যায়, হারভেস্টর মেশিন দিয়ে ধান কাটা-মাড়াইয়ের ভিন্ন চিত্র । এসময় মাঠেই ধান বস্তাভর্তি করতে ব্যস্ত ছিলেন কৃষক শ্রমিকরা।
জানা যায়, শষ্যভান্ডার খ্যাত গাইবান্ধা জেলা। এ জেলায় বোরো মৌসুমে লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে ধান আবাদ করা হয়। প্রত্যেক বছরে এসব ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের গুনতে হয় অধিক পরিমানের খরচ। একই সঙ্গে দেখা দেয় শ্রমিক সংকট।
এ সংকটের কারণে অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেতই নষ্ট হয় ধান। তাই কৃষকের সার্বিক সমস্যা মোকাবিলায় চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকের মাঠে নামানো হয়েছে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০টি মেশিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটতে দাপিয়ে চলছে কৃষকের মাঠে। ফলে কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে স্বস্তির হাসি। এ মেশিনের সুফল পেতে অন্যান্য কৃষকরাও ঝুকে পড়ছে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, সরকারের কৃষির যান্ত্রিকীকরণে ভর্তুকি আওতায় ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন কৃষক সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হয়। এরই মধ্যে ৪০ টি মেশিন দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এসব মেশিন দিয়ে দ্রুত ধানকাটা এবং মাড়াই করা যায়। এতে সনাতন পদ্ধতির চেয়ে খরচ কম হয় অনেকটাই। সেই সঙ্গে ধানেরও ক্ষতি হয় কম।
উদ্বোধনের আড়াই বছরেও চালু হয়নি পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন!
স্টাফ রিপোর্টারঃ উদ্বোধনের আড়াই বছর পরেও সেবা দিতে পারছে না পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারেনি ভবনটি। ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হয় এ উপজেলাবাসীকে। এমতবস্থায় পলাশবাড়ী উপজেলাবাসী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সেবা দ্রুত চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ প্রত্যাশা করছে।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, ভবনের কাজ শেষ। কিন্তু বিদ্যুত ও পানি সঞ্চালনের কাজ বাকি থাকায় হস্তান্তর করতে বিলম্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।
দৈনিক গাইবান্ধা