এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পূজা চেরী
চারদিকেই চলছে পূজার উৎসব। উলুধ্বনি ও ঢাকের তালে মুখর প্রতিটি পূজামণ্ডপ। যদিও করোনার কারণে এই উৎসবের আনন্দে অনেকটা ভাঁটা পড়েছে, তবুও থেমে নেই পূজা। পূজার আনন্দ বইছে মিডিয়া পাড়ায়ও।
করোনার কারণে ঘরে বসেই পূজার দিনগুলো কাটাচ্ছেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী। টুকটাক রান্নাবান্নাও শিখছেন। পূজার রেসিপি নাড়ু তৈরি করা খুব একটা শিখে উঠতে পারিনি তিনি। তবে খেতে পারেন ভালো। মায়ের হাতের নাড়ু তার খুব পছন্দ। এমনটাই গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন তিনি।
সে সাক্ষাৎকারে এই পূজাকে ঘিরেই ভক্তদের সঙ্গে এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।
তিনি বলেন, নায়িকা হওয়ার পরেও পূজা মণ্ডপে ঘুরতে গিয়েছি। দর্শক আমাকে দেখে প্রথমে একটু দ্বিধায় পড়ে যেতেন, ভাবতেন এটা কি পূজা? এর পরে নিশ্চিত হয়ে সেলফি তুলতে এগিয়ে আসতেন।
একইভাবে গত বছর দেশের বাড়ি গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িতে পূজার অনেক বড় আয়োজন করা হয়। পূজার সময় দেবীর সামনে বসে থাকতে, দেবী দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু গত বছর এটা আমার দেখার ভাগ্য হয়নি। কারণ আমাদের গ্রামের বাড়িতে যত মানুষ আছে সবাই আমাকে দেখতে চলে এসেছিলেন। আমি বাইরে বের হতে পারছিলাম না। এদিকে বাইরে হট্টগোল। কেউ কেউ বলাবলি করছিলেন, দরজা ভেঙে ফেলো। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মনে মনে ভালোও লাগছিল। আমাকে দেখতে এত মানুষ এসেছেন! এর পরে আমি বের হই। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলি, দরজা ভাঙার দরকার নেই। এর পর সবার সঙ্গে দেখা করি। অনেকেই সেলফি তুলেছেন। এটা ছিলো আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
ভয়ংকর হলেও এই অভিজ্ঞতা পূজাকে ভালোলাগা অনুভব করায়।
পূজা চেরি শিশুশিল্পী হিসেবে মিডিয়াতে পা রাখলেও অল্প দিনেই সেই খোলস ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন। নায়িকা হিসেবে অভিষেক সিনেমা দিয়েই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
দৈনিক গাইবান্ধা