শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:৪২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

‘আমার উচিৎ ছিল ওর মুখে ঘুষি মারা’

‘আমার উচিৎ ছিল ওর মুখে ঘুষি মারা’

নতুন মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নামাটা মোটেও সুখকর হয়নি ফ্রেঞ্চ ক্লাব ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়রের। মার্শেইর বিপক্ষে শুধু হারই নয়, ঘটেছে আরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ম্যাচের শেষদিকে মারামারি ও তর্কে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেছেন দুই দলের পাঁচ খেলোয়াড়।

যেখানে রয়েছে নেইমারেরও নাম। পুরো ম্যাচে ১২ হলুদ কার্ড ও ৫ লাল কার্ডের মধ্যে দুই হলুদ ও এক লাল কার্ড গেছে নেইমারের নামের পাশে। কিন্তু দ্বিতীয় হলুদ তথা লাল কার্ডের পেছনে তার দায় ছিল সামান্যই। কেননা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেজের বর্ণবাদী গালির প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।

ম্যাচের অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে তর্কে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের দুই আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লেওনার্দো পারেদেস ও দারিও বেনদেত্তোর ফাউলের ঘটনাকে বড় করেন জর্ডান অ্যামেভি-ল্যাভিন কুরযায়ারা। ফলে চারজনকেই দেখানো হয় লাল কার্ড।

তখন আলভারো গঞ্জালেজ অভিযোগ করেন, তার মাথায় মেরেছেন নেইমার। এ অভিযোগের ভিত্তিতে নেয়া হয় ভিডিও এসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তা এবং পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে নেইমারকে দেখানো হয় লাল কার্ড। কিন্তু নেইমার কেনো সেই খেলোয়াড়ের মাথায় মেরেছেন, সেটি খুঁটিয়ে দেখেননি রেফারি।

Neymar

ম্যাচ শেষে এটি নিজেই পরিষ্কার করেছেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে রাগে ফুটতে নেইমার জানিয়েছেন, গঞ্জালেজের মাথায় থাপ্পড় না দিয়ে বরং মুখে ঘুষি মারা উচিৎ ছিল। কেননা মার্শেইর এ ডিফেন্ডার তাকে অকথ্য ভাষায় বর্ণবাদী গালি দিয়েছেন।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘যে আমাকে বানর ও শুকরছানা বলে গালি দিয়েছে, এটার কী হবে? আমি দেখতে চাই এটার কী বিচার হয়। আমি রেইনবো ফ্লিক (এক ধরনের বিশেষ স্কিল) করলে আমাকে শাস্তি দেয়া হয়, একটা থাপ্পড় মারায় লাল কার্ড দেয়া হয়। কিন্তু তাদের বেলায় কী হবে?’

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নেইমারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলভারো গঞ্জালেজ। নিজের প্রোফাইলে এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘ফুটবলে বর্ণবাদের কোনো সুযোগ নেই। সবধরনের সতীর্থদের সঙ্গে খেলেই দাগহীন এক ক্যারিয়ার আমার। কখনও কখনও আপনাকে পরাজয় মেনে নেয়া শিখতে হয়। আজকের তিন পয়েন্ট দারুণ ছিল।’

গঞ্জালেজ আবার পাশে পেয়েছেন দলের কোচ আন্দ্রে ভিয়াস বোয়াসকেও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমি জানি না, আমি আশা করি এমন কিছু হয়নি। ফুটবলের বর্ণবাদের জায়গা নেই। এমনটা হয়ে থাকলে সত্যিই বড় অপরাধ। কিন্তু আমি মনে করি না এমন কিছু হয়েছে। ম্যাচ শেষে পরিস্থিতির কারণে হয়তো রেগে ছিল নেইমার।’

উল্লেখ্য, ফুটবল মাঠে নেইমারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ এবারই প্রথম নয়। এ নিয়ে অন্তত সাতবার তার সঙ্গে ঘটল বর্ণ বিদ্বেষের ঘটনা। ২০১১ সালে স্কটল্যান্ডে, ২০১২ সালে বলিভিয়ায়, ২০১৩ সালে ইটুয়ানোতে, ২০১৪ সালে বার্সেলোনায়, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে এসপানিওলে এবং সবশেষ পিএসজিতে নিজের ঘরের মাঠেই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হলেন তিনি।

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ