শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ || ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ১৪ আগস্ট ২০২০

অবশেষে নিরসন লাখো শিক্ষকের বেতন বৈষম্য

অবশেষে নিরসন লাখো শিক্ষকের বেতন বৈষম্য

অবশেষে কাটল আঁধার, নিরসন হলো সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের বেতন বৈষম্য। জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে নয়, উচ্চধাপেই নির্ধারণ করা হলো সহকারী শিক্ষকদের বেতন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন সমকালকে বলেন, 'অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণের বিষয়ে কথা বলেছিলাম। তিনি উচ্চধাপে শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ হবে মর্মে কথা দিয়েছিলেন আমাকে। এটি একটি বিশাল অর্জন।'

ময়মনসিংহ সদরের বয়ড়া ছালাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিলকিছ আক্তার রুমা সমকালকে বলেন, '১৩তম গ্রেডের নিম্নধাপে বেতন ফিক্সেশন করা হলে তাতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের বেতন যে কমে যেত, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুধাবন করতে পেরেছে। শিক্ষকদের পাশে থাকার জন্য এ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ।' রংপুর ক্যাডেট কলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রওশন আরা বীথি বলেন, 'উচ্চতর ধাপে এখন বেতন নির্ধারণ করা হলেও বেশকিছু সমস্যা রয়েই গেল। নতুন আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা কোনো সার্ভিস বেনিফিট পাবেন না। এ ছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষকদের বেতন এক হয়ে গেল!'

জানা গেছে, লাখ লাখ প্রাথমিক শিক্ষকের এসব বাস্তব সমস্যা বুঝতে পেরে সহকারী শিক্ষকদের বেতন উচ্চধাপে নির্ধারণ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২৮ জুলাই চিঠি দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীম আরা নাজনীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বর্তমান মূল বেতনের নিম্নধাপে বেতন নির্ধারণের কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন কমে যাচ্ছে। এতে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সে কারণে মাঠ পর্যায়ে বেতন ফিক্সেশন হচ্ছে না। চিঠিতে বলা হয়, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। বেতন স্কেল উন্নীতকরণ সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে হতাশা এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় উদাহরণ তুলে ধরে অর্থ বিভাগকে এ চিঠিতে জানায়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো ও উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত বেতন নির্ধারণে এরূপ সমস্যায় তাদের সংশ্নিষ্ট স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতনও উচ্চধাপে নির্ধারণের জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়। অবশেষে গতকালের আদেশের মধ্য দিয়ে সাড়ে তিন লাখ সহকারী শিক্ষক হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
 

দৈনিক গাইবান্ধা

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

সর্বশেষ

শিরোনাম

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপনদেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীরঈদে বেড়েছে রেমিট্যান্স, ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতেনেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিতআয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দনজুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেইগোবিন্দগঞ্জে কাজী রাশিদা শিশু পার্কের উদ্বোধনইউরোপের চার দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু